হুমায়ুন কবির জুশান,উখিয়া::
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে উখিয়ায় জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি। দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। বর্ধিত সভা, কর্মী সভা ও মতবিনিময় সভা করছেন। নেতাকর্মীদের একজোট হয়ে কাজ করার তাগিদ দেয়া হচ্ছে। উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির কবির চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করতে দলের নেতারা কাজ শুরু করেছেন। দলের অভ্যন্তরের ভুল বোঝাবুঝি দূর করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই মন্তব্য করে উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী বলেছেন, এখন আওয়ামী লীগের দু:শাসন চলছে। তারা দেশের গণতন্ত্র, প্রশাসন, বিচার বিভাগ সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলে তাকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে শপথ নেওয়ার দিন, ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি। সে ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই ক্ষমতাসীনরা চাইছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাতে ( ২৭ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সচেতন মহলের মতে, সময় আর বেশি নেই। শুরু হয়েছে নির্বাচনী হাওয়া। দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে মুখোমুখি অবস্থান নেবে চির দুই প্রধান প্রতিদ্বন্ধী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। মূল লক্ষ্য থাকবে ক্ষমতায় যাওয়া। এ নিয়ে টানটান উত্তেজনা থাকবে দেশে। সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই মূলত সরব থাকবে রাজনীতি। রাজধানী থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত একটাই আলোচনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরও চাঙ্গা করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন উজ্জেবিত। উখিয়ার বিএনপি নেতা সালাম সিকদার বলেন,নির্বাচনের আগে স্বরণকালের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ও ব্যাপক গণজমায়েত প্রমাণ করে জনগণ বিএনপির পক্ষে রয়েছে।আমরা শান্তি শৃঙ্খলাভাবে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছি। জাতীয় নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার গতি ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। উখিয়া রাজাপালং ৬ নং ওয়ার্ডের ভোটার মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, আওয়ামী লগের ডজন খানেক প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান সাংসদ আব্দুর রহমান বদি ছাড়া অন্য কাউকে এই আসনের নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করা হলে এই আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হবে। তাছাড়া বিএনপির একক প্রার্থী যিনি তিনি চারবারের নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। বিএনপির শাহজাহান চৌধুরীর সাথে লড়তে করতে হলে এমপি আব্দুর রহমান বদির বিকল্প নেই। আরেক ভোটার মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ক্লিন ইমেজের বিএনপির শাহজাহান চৌধুরী একক প্রার্থী হওয়ায় কোনো প্রকার কোন্দল সেখানে নেই। তাছাড়া জামায়াতের রিজার্ভ ভোট শাহজাহান চৌধুরীই পাবেন।
চট্টগ্রামে চকবাজার থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন ...
পাঠকের মতামত